পরমাণু শক্তি: সমরে নয়, শান্তিতে

. Sunday, October 26, 2008
  • Agregar a Technorati
  • Agregar a Del.icio.us
  • Agregar a DiggIt!
  • Agregar a Yahoo!
  • Agregar a Google
  • Agregar a Meneame
  • Agregar a Furl
  • Agregar a Reddit
  • Agregar a Magnolia
  • Agregar a Blinklist
  • Agregar a Blogmarks

হিরোশিমা আর নাগাসাকি আমাদের সব সময় পরমাণু শক্তির ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু শান্তির কাজে লাগালে পরমাণু শক্তি আমাদের এ পৃথিবী বদলে দিতে পারে। আমাদের দেশেও দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। পরমাণু শক্তির বদলে দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে লিখেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাকিয়া বেগম

পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার দ্বারা প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন বিংশ শতাব্দীর একটি বড় অর্জন, যা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে অনেক প্রক্রিয়া অধিক উন্নততর, সহজতর, দ্রুততর ও সাশ্রয়ী করে তুলেছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এ শক্তির কোনো বিকল্প আবিষ্কৃত হয়নি।

পারমাণবিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিক্রিয়ার কারণে যে শক্তি উৎপাদিত হয়, তাকেই পরমাণু শক্তি বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ফিশন ও ফিউশন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত শক্তি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রেডিও আইসোটোপ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ফিশন প্রক্রিয়ায় ভারী কোনো পদার্থের কেন্দ্রিণ (নিউক্লিয়াস) ভেঙে ফেলার কারণে ভিন্ন ভরের দুটি পদার্থ তৈরি হওয়া ছাড়াও প্রবল শক্তি উৎপন্ন হয়, আর ফিউশন প্রক্রিয়ায় দুটি কম ভরের মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে একটি অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থে রূপান্তরিত হয়; এ ক্ষেত্রেও প্রচুর শক্তি উৎপাদিত হয়।

একই ধরনের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সমানসংখ্যক প্রোটনসংখ্যা কিন্তু ভিন্নতর নিউট্রনসংখ্যার নিউক্লিয়াসগুলোকে ওই মৌলিক পদার্থটির আইসোটোপ বলা হয়। শক্তির দিক দিয়ে অস্থায়ী অবস্থান থেকে স্থায়ী অবস্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ আইসোটোপগুলো বিকিরণরশ্মির আকারে শক্তি নির্গমন করতে থাকে। এগুলো প্রাকৃতিক রেডিও আইসোটোপ। এ ছাড়া বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে স্থায়ী কোনো পদার্থকে বিকিরণরশ্মি দ্বারা সম্পাদিত করে অস্থায়ী পদার্থে রূপান্তর করা হয়। এ হলো মানুষের তৈরি রেডিও আইসোটোপ। রেডিও আইসোটোপ থেকে বিকিরণের আকারে নির্গত পরমাণু শক্তি চিকিৎসা, কৃষি, শিল্প, নিরাপত্তা, উৎপাদন ও নির্মাণ, গৃহস্থালিসামগ্রী, গবেষণা প্রভৃতি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে
পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এ শক্তির সবচেয়ে বড় ও উল্লেখযোগ্য অবদান। সাধারণত ফিশন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। উন্নত বিশ্বে বিদ্যুৎ চাহিদার বিরাট একটি অংশ এ শক্তি দ্বারা পূরণ করা হচ্ছে। জাপান, চীন, ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশও বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে এ শক্তি ব্যবহার করে চলেছে। কম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণে পরিচ্ছন্ন, সেই সঙ্গে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস হিসেবে এ শক্তি নতুনভাবে সমাদৃত হয়ে উঠছে এবং বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

চিকিৎসাক্ষেত্রে
রোগ নির্ণয়ের জন্য সহজ ও সুলভ পদ্ধতি হিসেবে এক্স-রের পরিচিতি এখন প্রায় সর্বত্র। সুলভ এই পদ্ধতি কিন্তু পারমাণবিক বিক্রিয়ার কারণেই সম্ভব হয়ে উঠেছে। এতে আজ লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সাধারণ রেডিওগ্রাফি ছাড়া এ রশ্মি দ্বারা পরিচালিত ফ্লোরোস্কপি, সিটি স্ক্যান, মেমোগ্রাফি, বোন ডেনসিটোমিটার, এনজিওগ্রাফি প্রভৃতি পদ্ধতি বর্তমানে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। রেডিওথেরাপির ক্ষেত্রে বিকিরণজনিত শক্তি কাজে লাগানো হয়, যা ক্যান্সারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এ ক্ষেত্রে টেলিথেরাপি যন্ত্র অথবা এক্স-রে মেশিন অথবা লিনিয়ার অ্যাকসিলারেটর থেকে নির্গত বিকিরণরশ্মি শরীরের বাইরে থেকে প্রয়োগ করা হয়, অথবা কখনো বিকিরণ-উৎসটি আক্রান্ত স্থানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থাপন করে (ব্রাকিথেরাপি) দেওয়া হয়, যা ক্যান্সারের কোষগুলো ধ্বংস করে ফেলে অথবা এর বিস্তৃতি রোধ করে রোগটি প্রশমিত করে।

পারমাণবিক চিকিৎসা এ শক্তির ওপর নির্ভরশীল আরও একটি উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রেডিও আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়। আণবিক পর্যায়ে লক্ষ্য স্থির করতে সক্ষম হওয়ায় ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এবং কিছু কিছু রোগের চিকিৎসায়ও এ পদ্ধতির ব্যবহার অধিক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এ পদ্ধতি থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা নির্ণয় ও চিকিৎসায় বর্তমানে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে।

ওষুধশিল্পে
৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওষুধপথ্য জীবাণুমুক্তকরণ ও এগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে তেজস্ক্রিয় বস্তু ব্যবহার করা হয়। এইডস, ক্যান্সার, আলঝেইমার প্রভৃতি রোগের কারণ ও রোগমুক্তিসংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনাসহ জৈবচিকিৎসাসংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় বস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছে।

শিল্পক্ষেত্রে
শিল্প-কারখানায় ব্যবহূত যন্ত্রপাতিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতি দেখা দেয়। ফলে কারখানার স্বাভাবিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা বড় ধরনের ক্ষতি বা দুর্ঘটনা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তেজস্ক্রিয় বস্তু ব্যবহার করে ধাতব পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠন বিশ্লেষণ করা সম্ভব বলে এর গঠনগত ত্রুটিবিচ্যুতি নির্ণয় করা সম্ভব। তাই শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত না করে বা কার্যক্রম বন্ধ না রেখেই এ পদ্ধতি দ্বারা মান নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ তেজস্ক্রিয় বস্তু ব্যবহার করেই পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে পরিচালিত তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের গতি, ফিল্টারকরণের ক্ষেত্রে দক্ষতা, পাইপলাইনের অভ্যন্তরীণ ক্ষয়প্রাপ্তির হার, কোনো ধারক বা পাত্রের মধ্যকার তরল বা পাউডারজাতীয় পদার্থের স্তর নির্ণয়, নির্মাণ ও উৎপাদনশিল্পে সুলভে এবং অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভুলভাবে বিভিন্ন বস্তুর পুরুত্ব, ঘনত্ব ও উপাদানের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় এবং কারখানায় উৎপাদিত বস্তুর কোথাও কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। তাই তেল শোধনাগার, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, জাহাজ তৈরির কারখানা, সার কারখানা, কাগজশিল্প, রেললাইন, বিমান প্রভৃতি শিল্পে এ পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

পলিমারের সঙ্গে তেজস্ক্রিয় প্রযুক্তি প্রয়োগ করে কাঠ ও প্লাস্টিক, পাট ও প্লাস্টিক প্রভৃতি মিশ্র পদার্থ তৈরিসহ জৈবিক, পুষ্টি, চিকিৎসা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষিক্ষেত্রে
খাদ্যশস্যের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে, সংরক্ষণে, পুষ্টিগুণ বর্ধিতকরণে এবং কীটপতঙ্গ দমনে তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করা হয়। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগে শস্যের জেনেটিক পরিবর্তন ঘটিয়ে অধিক ফলনশীল, বৈরী আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে সক্ষম ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ প্রতিরোধক শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আক্রান্ত শস্যক্ষেতকে কীটপতঙ্গমুক্ত করার জন্য বিকিরণ দিয়ে পুরুষ প্রজাতিকে নির্জীব করে ক্ষেতের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে এদের বংশবিস্তারের প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষেত পতঙ্গমুক্ত হয়। এ ছাড়া শস্যক্ষেতের আর্দ্রতা পরিমাপ, মৃত্তিকার ক্ষয়প্রাপ্তির হার ও লবণাক্ততা নির্ণয় এবং সার প্রয়োগের পর এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভিদ কর্তৃক শোষিত হওয়া এবং অপচয় হওয়ার হার নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে।

পরিবেশে
অল্প পরিমাণে তেজস্ক্রিয় বস্তু ব্যবহার করে মাটি, পানি বা বায়ুতে বিদ্যমান প্রধান, সুক্ষ্ম বা অতি সুক্ষ্ম উপাদানগুলো নির্ণয় করা সম্ভব হওয়ায় বায়ু ও মাটির দুষণমাত্রা, মাটির উপরিভাগ বা তলদেশের পানিতে বিদ্যমান দুষণমাত্রা অথবা মানবস্বাস্েথ্যর জন্য ক্ষতিকর আর্সেনিক, সিসা, ক্যাডমিয়াম বা অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদানের উপস্িথতি নির্ণয় করা, বাঁধ ও সেচপদ্ধতির ক্ষেত্রে নদীর পানির প্রবাহ, পানি চুইয়ে বের হয়ে যাওয়া এবং আবর্জনা বা তলানি বৃদ্ধির হার পরিমাপ করা সম্ভব হয়।

আইসোটোপ হাইড্রোলজি পদ্ধতিতে ভুতাত্ত্বিক ও রসায়নগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভুগর্ভস্থ পানির প্রবাহ, সুনির্দিষ্টভাবে এর অবস্থান চিহ্নিতকরণ, উৎপত্তি, বয়স, পানিতে বিদ্যমান দুষণের বৈশিষ্ট্য ও প্রক্রিয়া নিরূপণ, গুণগত মান নির্ধারণ, নতুন ও নবায়নযোগ্য পানির উৎসের সন্ধান, বণ্টনপ্রক্রিয়া, গভীর ও অগভীর জলস্তরে পানি পুনর্ভরণ পদ্ধতি এবং এগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় ও বিশ্লেষণ করা যায়, যা পানির সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন
করে থাকে।

মহাশুন্যে
মনুষ্যবিহীন মহাশুন্যযানে জ্বালানির উৎস হিসেবে রেডিও আইসোটোপ দ্বারা পরিচালিত তাপীয় বৈদ্যুতিক জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্লুটোনিয়াম ডাই-অক্সাইডের ক্ষয়িষ্ণুতার কারণে সৃষ্ট শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়, যা নিরবচ্ছিন্নভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।

ভুতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রে
কার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে জীবাশ্মসংক্রান্ত নমুনা ও শিলাখন্ডের বয়স নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া উদ্ভিদের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক ও জৈবিক প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা সম্ভব হওয়ায় বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ধারণা লাভ করাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালানো সম্ভব হয়। জাদুঘরে সংরক্ষিত চিত্রকর্ম বা অন্যান্য শিল্পকর্মের খাঁটিত্ব প্রমাণ করার ক্ষেত্রেও তেজস্ক্রিয় বস্তু ব্যবহার করা হয়। খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে, খনিজ পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের জন্যও তেজস্ক্রিয় বস্তু দ্বারা পরিচালিত ওয়েল লগিং বা ট্রেসার টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।

গৃহস্থালির কাজে
তাপ প্রয়োগের ফলে প্লাস্টিক, প্রসাধন প্রভৃতি যেসব পদার্থের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেগুলোর দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণের জন্য বিকিরণরশ্মি ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ডিস্কের মেমোরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে, স্মোক ডিটেকটরে, রান্নার কাজে ব্যবহূত ননস্টিক প্যানের আস্তরণটি সঠিকভাবে যুক্ত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য, ফটোকপি মেশিনে উৎপাদিত স্থির বিদ্যুৎ দুরীকরণে এবং কাগজগুলো একত্রে আটকে দলা পাকিয়ে যাতে যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে না যায়, সে লক্ষ্যেও কখনো কখনো তেজস্ক্রিয় বস্তু ব্যবহার করা হয়।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে জল, স্থল ও বিমানপথে মালামাল পরিবহন ও যাত্রীদের স্ক্যানিং করার জন্য সাধারণত এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিউট্রন সোর্সও ব্যবহার করা হয়। সর্বোপরি বলা যায়, মানুষের জীবনযাত্রার মনোন্নয়নের জন্য পরমাণু শক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

প্রথম আলো, ২৬ অক্টোবর, ২০০৮ এর বিজ্ঞান প্রজন্ম সংখ্যায় প্রকাশিত।

0 comments: