ভারত 'চন্দ্রযান' পাঠালো

. Friday, October 24, 2008
  • Agregar a Technorati
  • Agregar a Del.icio.us
  • Agregar a DiggIt!
  • Agregar a Yahoo!
  • Agregar a Google
  • Agregar a Meneame
  • Agregar a Furl
  • Agregar a Reddit
  • Agregar a Magnolia
  • Agregar a Blinklist
  • Agregar a Blogmarks

ভারত চাঁদ নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে আকাশে 'চন্দ্রযান' নামক একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে। ভারত এর মাধ্যমে মহাকাশযাত্রায় সমর্থ দেশগুলোর সভায় নাম নিবন্ধন করলো। অবশ্য এর আগেই ভারতের একাধিক ব্যক্তি আমেরিকার নাসা'তে কর্মরত থেকে মহাকাশযাত্রার অভিযানে সামিল হয়েছিল। এর মধ্যে কল্পনা চাওলা ও সুনিতা উইলিয়ামস এর নাম উল্লেখযোগ্য।

পাশের ছবিটি ভারতের মহাকাশযানের একটি শৈল্পিক কল্পনা।

ভারতের যে সব বিজ্ঞানী এই মহাকাশ গবেষণায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের পরিচয় নিম্নরূপ। নিচের লেখাটিতে তাদের পরিচয় সংক্ষেপে দেয়া হয়েছে। রচনার সূত্র: পুরানপাপী

ভারতের মহাশূন্য গবেষনার প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইকে বলা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজ্ঞানীর গবেষনা আজ এই প্রতিষ্ঠানটি এক মহিরুহে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে ভারতের চন্দ্র অভিয়ানে যেসব বিজ্ঞানী নিরলস ভাবে কাজ করছেন। তার মধ্যে জি মাধবন নায়ার, মইল্লা সোয়ামী আনন্দুরাই, জর্জ কোশি, এস ভি কুমার হচ্ছে অন্যতম। ভারতের এই কৃতিমান পূরেুষরা পৃথিবীর নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির গবেষনা করেছেন জীবনের বিভিন্ন সময়ে। তারপর তারা দেশে ফিরে দেশকে উপহার স্বরুপ এই সাফল্য এনে দিয়েছেন।

প্রথমেই আসি মাধবন নায়ারের কথায়। ভারতের একজন প্রথম সারির প্রযুক্তিবিদ। রকেট সিষ্টেম উন্নতর করার ক্ষেত্রে উনার অবদান এক কথা অনিস্বীর্কায। একধিক স্যাটালাইট এক সাথে রকেটে বেধে মহাশূন্যে প্রেরন করার প্রযুক্তি নির্মনে উনার অবদান গুরুত্বে সাথে বিবেচনা করা হয়। উনি ইসরোতে পরিচালক থাকা অবস্থায় রিমোট নিয়ন্ত্রিত প্রথম পোলার স্যটালাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল পিএসএলভি মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। এর পর তিনি একে আরো উন্নত করেন ।
উনি ভারতের জিও সিনক্রোনাইস স্যটালাইট লঞ্চ ভেহিকলের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের নকশা এবং একে আরো আধুনিক ও উন্নত করতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন।

কৃতীমান এই বিজ্ঞানীর জন্ম ভারতের কেরলা রাজ্যের নিয়াটিনকারা নামক এক গ্রামে ১৯৬৬ সালে উনি বিএসসি ডিগ্রি নেন তড়িৎ ও যোগাযোগ প্রকৌশলে। স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর উনি ভরতের বিখ্যাত ভাবা আনবিক গবেষনাগারে যোগদান করেন। বিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে উনাকে ভারত সরকার পদ্মভুষনে সন্মানিত করে।

দ্বিতীয় যে ব্যক্তিটির নাম আসে এই চন্দ্রযান প্রজেক্টে তিনি হচ্ছেন মইলোসোয়ামী আনানদূরাই। বিজ্ঞানী আনানদূরাই এই চন্দ্রমিশনে নেতৃত্য দানের পাশাপাশি মিশনের সকল রিপোর্ট তৈরী করেছেন।উনি নিজে অনেক গবেষনা পত্র বিভিন্ন বিজ্ঞান সাময়িকিতে প্রকাশ করেছেন। ভারতের ইনস্যাট সট্যালাইটই সহ বিভিন্ন সটালাইট নির্মান ও উন্নয়নের পিছনে উনার অবদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ন। উনার জন্ম ২রা জুলাই, ১৯৫৮ ভারতের পোলালাচি সংলগ্ন কোটারী নামক গ্রামে তামিল নাডু রাজ্যে কোয়েম বাটোরে এটি অবস্থিত। প্রকৌশলে স্নাকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উনি ১৯৮২ সালে ইসরোতে যোগদান করেন।

টি কে এলেক্স

ভারতের প্রথম সট্যালাইট আর্যভট্ট যখন মহাকাশে ছাড়া হয় তখন উনি ছিলেন সেই মিশনের পরিচালক।
ভারতের যেসব স্যটালাইট ইতিপূর্বে ছাড়া হয়েছে তার সবগুলি সট্যালাইটের সেন্সর সিস্টেম গুলিতে যে পরিবর্তন উন্নয়ন ঘটেছে তার বেশির ভাগ কৃতিত্ব এই বিজ্ঞানীর। উনার নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালে ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইলেকট্রো অপটিকস সিষ্টেম ল্যাবোরেটরি । ভুপৃষ্ঠের যেসব ছবি স্যটালাই্ট ক্যমেরার সাহায্যে তোলা হয় সে সব ক্যমেরার সঠিক ডাটা ও নিখুত ছবি তোলার যন্ত্র গুলি উন্নয়ন ঘটান এই কৃতিমান বিজ্ঞানী।

টি কে এলেক্স স্বর্ন পদক পান কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসিতে। তারপর আই আই টি মাদ্রাজ থেকে উনি তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাকোত্তর মানে মার্ষ্টাস ডিগ্রি নেন।

শিব কুমার

উনিও ইসরোর একজন মিশন পরিচালক । উনি ভুমি থেকে মহাশূন্যে চন্দ্রযান পাঠানোর মধ্যে যে সব যোগাযোগ করা হয় তার কমান্ড উনি পরিচালনা করেন। অতন্ত্য জটিল মূহুর্ত গুলির পরিস্থিত যেমন চদের অরবিটে ঢুকা , চন্দ্রপৃষ্ঠে আরোহন করা ইত্যাদির সাথে যে যোগাযোগ তার কমান্ড উনি পরিচালনা করেন।

এছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞানী আছেন এর সাথে যুক্ত।

এখানে উল্লেখ্য প্রতিটি অভিযানে এর প্রধান তিরুপাতি মন্দিরে গিয়ে ভগবান তিরুপতির আর্শীবাদ নিয়ে এরা কাজ শুরু করেন। বিজ্ঞানী নায়ার এ পূজাটি দেন ইসরোর পক্ষ থেকে।

0 comments: