খাদ্য : ব্রেইন ফুড

. Sunday, January 4, 2009
  • Agregar a Technorati
  • Agregar a Del.icio.us
  • Agregar a DiggIt!
  • Agregar a Yahoo!
  • Agregar a Google
  • Agregar a Meneame
  • Agregar a Furl
  • Agregar a Reddit
  • Agregar a Magnolia
  • Agregar a Blinklist
  • Agregar a Blogmarks

কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ

মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের মতে, কোলিনসমৃদ্ধ খাদ্য খেলে মেধাশক্তি বাড়ে। প্রতিদিন মস্তিষ্কের জন্য ৪০০-৯০০ মিলিগ্রাম কোলিন প্রয়োজন। একটি হাঁস বা মুরগির ডিমে ৪০০ মিলিগ্রাম, ছোট দু’টুকরা মাছ থেকে ১০০ মি. গ্রা. ৪-৫টি যকৃতের টুকরায় ৬০০ মি. গ্রা. কোলিন থাকে। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, সয়াবিন, দুধ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর কোলিন থাকে। বিশেষ করে সয়াবিন নিয়মিত খেলে শেখার, বুঝার ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধ বয়সে ভিটামিন ‘বি’-এর অভাব হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে ডাল, শস্যদানা, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, চাল, গম, কলা, গাজর, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাদ্যে। ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে মস্তিষ্কের বাস্তবের সাথে বুঝার ক্ষমতা অনেকাংশে লোপ পায়। ভিটামিন সি বেশি থাকে আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, আম, লেবু, বাতাবি লেবু, জলপাই ইত্যাদিতে। মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে আয়রনের প্রয়োজন। মস্তিষ্কের মধ্যে সবসময় শরীরে রক্তের প্রায় ২০ ভাগ রক্ত চলাচল করে। রক্ত শোধনের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। রক্তের লাল রঙের উপাদান হিমোগ্লোবিন হলো অক্সিজেনের বাহক। আয়রন হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের প্রধান সৃষ্টিকারী।

মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে মনোযোগ ও নতুন কিছু বুঝা বা শেখার আগ্রহ কমে যায় এবং মনের চঞ্চল ভাবটাও নষ্ট হয়। কথাবার্তায় আদব-কায়দা হ্রাস পায়। আয়রন বেশি থাকে কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, কলা, নটেশাক, মূলাশাক, বরই, তরমুজ, বরবটি, গুড় ইত্যাদি খাদ্যে। এসব আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে সহজেই হজম হয়। বোরন ও জিংক স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপেল, আঙ্গুর, ডাব, টমেটো, গম, দুধ এসব খাদ্যে বোরন ও জিংক থাকে। ১০ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ালে স্মরণশক্তি বাড়ে। গর্ভবতী মহিলারা কোলিনসমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য খেলে গর্ভের শিশু মস্তিষ্ক গঠনের সময় স্মরণশক্তি ও বুদ্ধি বৃদ্ধির উপাদান সৃষ্টি হয়। বয়স্কদের জন্য মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তেল, চর্বি, ঘি জাতীয় খাদ্য স্মরণশক্তি হ্রাস করে। চর্বি জাতীয় খাদ্য উপাদান রক্তের সাথে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কের অত্যন্ত সূক্ষ্মবাহী নালীগুলোর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত করে। খাবারে মিশ্রিত কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ মানুষের স্মরণশক্তিকে মুছে ফেলে। মস্তিষ্কের প্রোটিন তৈরির সময় অ্যালকোহল বাধা দেয়। ফলে নতুন স্নায়ুকোষ জন্মাবার সম্ভাবনা চিরদিনের জন্যই বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের ওষুধ স্মরণশক্তি হ্রাস করে।

সূত্র: ইত্তেফাক, ৪ জানুয়ারী, ০৯

0 comments: