পাফিন (Fratercula arctica, Linnaeus) হচ্ছে অনিন্দ্য এক সামুদ্রিক পাখি। এদের বলা হয় সমুদ্রের প্যারট ও সমুদ্রের সেরা ভাঁড়ামি সার্কাস দল। একটি পাফিন তার ঠোঁটে একসঙ্গে কয়েক হালি মাছ বহন করতে পারে। বিশ্বে এই পাখিরা খুবই জনপ্রিয়। এরা বায়োইন্ডিকেটর পাখি। যেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়, সেখানে পাফিনরা বেশি থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৮০০ সাল থেকে পৃথিবীতে পাফিনের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। শিকার, আবাসস্থল ও ডিম ধ্বংস করার কারণেই আজ পাফিনদের এ অবস্থা। তবে নতুন করে এদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তন। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে উত্তর আটলান্টিক ও দক্ষিণ সাগরের খাদ্যজালে (ফুডওয়েব) ব্যাঘাত ঘটার ফলে ব্রিটেনের সবচেয়ে জমজমাট পাফিন-কলোনিতে পাফিনের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। জীবগোষ্ঠীর মধ্যে অসম খাদ্য-সম্পর্কের ফলে একটি বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খলের আন্তসংযোগে যে জালিকাকার গঠন সৃষ্টি হয়, তাকে বলে খাদ্যজালিকা। খাদ্যজালে কোনো রকম ব্যাঘাত ঘটলে সংশ্লিষ্ট জীবের জীবনধারণ দুরূহ হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের সেন্টার অব ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির গবেষক অধ্যাপক মাইক হ্যারিস ১৯৭০ সাল থেকে পাফিন নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, আসলি অব মে, যেখানে ২০০৩ সালে প্রায় ৭০ হাজার জোড়া পাফিন পাখি বাসা বেঁধেছিল, সেখানে এ বছর মাত্র ৪১ হাজার জোড়া পাখি বাসা বেঁধেছে। অর্থাৎ সংখ্যায় এরা দিন দিন কমছে।
পাফিনদের প্রধান খাদ্য হলো ছোট মাছ, স্কুইড ও অন্যান্য সামুদ্রিক মলাস্কা। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এদের বসতি-সাগরগুলোতে প্লাঙ্কটনের উৎপাদন কমে গেছে। ফলে প্লাঙ্কটনের ওপর নির্ভরশীল মাছগুলো কমে যাচ্ছে। আর এ কারণেই হুমকির মুখে আছে পাফিন পাখিরা।
"" সৌরভ মাহমুদ
২০০৮ সালের সেরা ১০টি বৈজ্ঞানিক ঘটনা -০২
-
নতুন জগৎ:
বিজ্ঞানীরা সবসময় এমন ধারণা করতেন যে সূর্য ছাড়াও এমন নক্ষত্র আছে যার চারপাশে
পৃথিবীর মতো গ্রহ নিয়মিত আবর্তিত হয়। কিন্তু ১৯৯৫ সালের আগে এরকম বহির্জা...
15 years ago
0 comments:
Post a Comment