কাগজে লিখে রাখা নাম কালের আবর্তে মুছেই যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা নতুন যে কাগজ তৈরি করেছেন, তা বোধহয় চিরকালই টিকে থাকবে। সুইডেনে প্রাকৃতিক সেলুলোজ ন্যানোফাইবার থেকে তৈরি ন্যানোপেপার নামের একটি কাগজ উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা স্টিলের মতোই মজবুত।
স্টকহোমের সুইডিশ রয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী লারস বার্জল্যান্ড জানান, কাগজ তৈরির জন্য কাঠ থেকে মন্ড তৈরির সময় এর ভেতরের প্রাকৃতিক আঁশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। বার্জল্যান্ড এই আঁশগুলো অক্ষত অবস্থায় সংগ্রহ করার একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন। ন্যানোপেপারের শক্তির রহস্য হলো, এর সেলুলোজ ফাইবারগুলোর অক্ষত এবং নেটওয়ার্কের মতো সজ্জিত অবস্থায় থাকা। ফাইবারগুলো একটির সঙ্গে অন্যটির কঠিন বন্ধন তৈরি করে রাখলে কী হবে, যেকোনো চাপ বা টানের মতো বাইরের চাপে এগুলো একটি আরেকটির ভেতর দিয়ে পিছলে গিয়ে চাপ সহ্য করতে পারে।
প্রচলিত কাগজের আঁশের চেয়ে এই সেলুলোজ ফাইবার অনেক ছোট। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর চাপ সইবার ক্ষমতা ২১৪ মেগাপ্যাসকেল, যা ঢালাই লোহার (১৩০ মেগাপ্যাসকেল) চেয়ে বেশি এবং ভবন ও সেতুতে ব্যবহূত ইস্পাতের (২৫০ মেগাপ্যাসকেল) কাছাকাছি। প্রচলিত কাগজের চাপ সইবার ক্ষমতা এক মেগাপ্যাসকেলেরও কম।
খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক জুল ভার্নের ১৮৬৬ সালের উপন্যাস রোবার দ্য কংকারার-এ স্টিলের মতো শক্তিশালী কাগজের উল্লেখ ছিল। জুল ভার্নের উপন্যাসের অনেক ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে এটিও শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। বিজ্ঞানীরা ইস্পাতদৃঢ় এই কাগজকে নির্মাণকাজেও ব্যবহারের কথা ভাবছেন।
২০০৮ সালের সেরা ১০টি বৈজ্ঞানিক ঘটনা -০২
-
নতুন জগৎ:
বিজ্ঞানীরা সবসময় এমন ধারণা করতেন যে সূর্য ছাড়াও এমন নক্ষত্র আছে যার চারপাশে
পৃথিবীর মতো গ্রহ নিয়মিত আবর্তিত হয়। কিন্তু ১৯৯৫ সালের আগে এরকম বহির্জা...
15 years ago
0 comments:
Post a Comment